বাংলাদেশে শীত আসার সঙ্গে হাজির হয় পিঠার আমেজ। পিঠা শুধু খাবার হিসেবে নয় বরং এটি আদিকাল থেকে লোকজ ঐতিহ্য এবং নারীসমাজের শিল্প নৈপুণ্যের স্মারক রূপেও বিবেচিত হয়।
প্রতিবছর এই উৎসবে প্রবাসের নারীরাও আয়োজন থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে চান না। তারা পরিবার এবং প্রিয়জনদের সামনে আনেন মুখরোচক সব পিঠা। বাংলাদেশ থেকে হাজার মাইল দূরে থেকেও গতকাল তুরস্কে সে পর্বটি আনুষ্ঠানিকতায় রূপ নেয়। ইস্তানবুলে বসবাসরত বাংলাদেশী সকল ফ্যামিলি এবং আপুদের উদ্যোগে আয়োজিত হয় পিঠা উৎসবটি।
সকল ভাবি এবং আপুরা নিপুন হাতে ভিন্ন ভিন্ন পিঠা তৈরী করে নিয়ে আসেন। তার মধ্যে ছিল পাটিসাপটা, মধুপুলি, বিস্কুট পিঠা, পুডিং, নুডুলস, চমচম, পায়েশ, কেক, সিংগারা, কাস্টার্ড, হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানী, ঝাল পিঠা, দই পুলি সহ আরো নানান আয়োজন।
ইলদিজ টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষক জনাব শাহেন শাহের বাসায় উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইস্তানবুলস্থ সকল ফ্যামিলি এবং আপুরা উপস্থিত ছিলেন।
তুরস্কে বাংলাদেশী কমিউনিটির নারীদের মধ্যে এই ধরনের ভিন্নধর্মী আয়োজন এবার প্রথম হলেও আনুষ্ঠানিকতায় কোন কমতি চোখে পড়েনি। সকলের ছিল পরিপূর্ণ আন্তরিকতা।
যদিও নাম বললে সকলের নামে আলাদা ধন্যবাদ দেওয়া লাগে। বিশেষত কষ্ট করে আয়োজনের জন্য সকল ভাবি এবং আপুদেরকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
আশা করি আগামী বছরের উৎসব আরো বড় আকারের এবং মহিলা-পুরুষ সকলের অংশগ্রহনে হবে।